পহেলা বৈশাখে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ , পরা যাবেনা মুখোশ
বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা এবং ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রাজধানীসহ সারাদেশে আসন্ন বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখে বিকেল ৫টার মধ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওইদিন বিকেল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা কনসার্ট করা যাবে না। আর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করতে হবে আগত লোকজনকে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ নির্দেশ দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই ভুভুজেলা যন্ত্রটি সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্রিকেটভক্তদের হাতবদল করে আস্তে আস্তে দখল করে নেয় ছোট-বড় সব উৎসব। এমনকি রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের সংস্কৃতির উৎসব বাংলা বর্ষবরণেও ভুভুজেলা নিজের জায়গাটি দখল করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের শ্রবণসীমার স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল। কিন্তু ভুভুজেলার শব্দ ৬০ ডেসিবলের বেশি হওয়ায় এটি মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের শ্রবণশক্তির বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি শ্রবণশক্তি নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। ভুভুজেলা উচ্চস্বরে বাজলে রক্তচাপ, কণ্ঠনালীর প্রদাহ, আলসার, মস্তিষ্কের রোগ, কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস, বদমেজাজ বা খিটখিটে মেজাজ, ক্রোধ প্রবণতা স্নায়ুবিক দুর্বলতা, রক্তনালীর সংকোচন এবং হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভুভুজেলা বাজে সাধারণত ৬০ থেকে ৫০ ডেসিবল মানমাত্রায়। এ ছাড়া একসঙ্গে অনেকগুলো ভুভুজেলা বাজলে শব্দ উৎপাদনের মাত্রা ১০০ ডেসিবল ছাড়িয়ে যায়। যেটি নীরব, আবাসিক ও মিশ্র এলাকার মানুষের শ্রবণশক্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
Blogger Comment
Facebook Comment